মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
সদ্যপ্রয়াত ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক মারা যাওয়ায় ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আসলামুল হক আসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী এসএ খালেককে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নৌকার মাঝি হয়ে সংসদে যান।
এই আসনের এমপি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসলামুল হক গত ৪ এপ্রিল মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর শাহ আলী ও দারুসসালাম থানা, বৃহত্তর মিরপুরের অর্ধেক, রূপনগরের আংশিক, সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড এই আসনের আওতাধীন। জাতীয়ভাবেই আসনটির গুরুত্ব অনেক।
আসন্ন ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি। উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে মাঠে নেমেছেন দলটির অর্ধশতকের বেশি নেতা। তারা পুরো নির্বাচনি এলাকায় বড় বড় বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়ে জানান দিচ্ছেন নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থান। ধরনা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের কাছে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-১৪ আসনে নৌকা প্রতীক পেতে অর্ধশতকের বেশি নেতা মাঠে থাকলেও উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। তারা হলেনÑ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোবাশ্বের চৌধুরী। উপনির্বাচনে নৌকা মনোনয়নে এই তিনজনের মধ্যেই হবে চ‚ড়ান্ত ফাইট। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এমনটাই নিশ্চিত করেছে।
তবে বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যেকোনো নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে অধিক সংখ্যক প্রার্থী চেষ্টা করবেন এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। যারা প্রচারণা করছেন তারা সবাই জানেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে।